সোমালিয়ায় সেনানিয়োগ কেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা, নিহত ১৩

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে একটি সেনা নিয়োগ কেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৩ নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার দামানিয়ো সেনাঘাঁটির প্রাঙ্গণে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসির।

মোগাদিসুতে বোমা হামলার ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষের জুতা

সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আসা তরুণদের লাইনে নিজেকে বোমার বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় অজ্ঞাত হামলাকারী। এতে ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হন।

বিস্ফোরণের সময় কাছাকাছি থাকা একটি গাড়ির চালক আব্দুলকাদির হাসান বলেন, একটি বিকট বিস্ফোরণ ঘটে এবং তৎক্ষণাৎ লোকজন চারদিকে দৌড়াতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে অসংখ্য মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী আরেক ব্যক্তি আব্দিসালান মোহাম্মদ বলেন, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী যখন বিস্ফোরণ ঘটায়, তখন সেনাঘাঁটির গেটে অনেক তরুণ-তরুণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ কানফাটা বিস্ফোরণে এলাকাটি ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

ঘটনা সম্পর্কে সুলেমান নামে একজন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন বলেন, তার চোখের সামনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনাস্থলে মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ এবং আত্মঘাতী হামলাকারীর দেহাবশেষ পড়েছিল। কয়েক ডজন পরিত্যক্ত জুতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে আহত অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন।

এদিকে তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর পেছনে আল-শাবাব সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। কেননা, আগের দিন শনিবার হিরান অঞ্চলে ব্যাটালিয়ন ২৬-এর কমান্ডার কর্নেল আব্দিরাহমান হুজালে বিদ্রোহীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো। তাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল শাবাব জঙ্গিরা।

আল-শাবাব প্রায় দুই দশক ধরে সোমালি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে এবং প্রায়শই সরকারি কর্মকর্তা এবং সামরিক কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

এর আগে ২০২৩ সালে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল মোগাদিসুর জালে সিয়াদ ঘাঁটিতে। ওই ঘটনায় একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ২৫ জন সৈন্যকে হত্যা করেছিল।