বাংলাদেশ সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী!

আগামী আগস্ট মাসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এক রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসতে পারেন বলে জোরালো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও রোমের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ঢাকা সফরকালে এই গুরুত্বপূর্ণ সফরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

জর্জিয়া মেলোনি

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সম্ভাব্য সফরকে চূড়ান্ত রূপ দিতে উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ে নিবিড় আলোচনা চলছে। এই সফরকে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুসংহত করার ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষত, বৈধ পথে অভিবাসন, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করাই এই সফরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

এর আগে, গত ৫ মে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে ‘নবায়ন’ ও ‘পুনরায় চালুর’ বিষয়ে রোমের গভীর আগ্রহের কথা জানান। পিয়ান্তেদোসি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন যে, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সেপ্টেম্বরের আগেই বাংলাদেশ সফর করতে পারেন।

বৈঠকে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন কাঠামোর অধীনে বাংলাদেশ থেকে আরও অধিক সংখ্যক দক্ষ কর্মী নিয়োগে তার দেশের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরেন। জবাবে অধ্যাপক ইউনূস ইতালির এই আগ্রহকে স্বাগত জানান এবং অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলা ও মানবপাচার রোধকল্পে রোমের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে ঢাকার পূর্ণ প্রস্তুতির কথা ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মেলোনি বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং চলমান সংস্কারমূলক কার্যক্রমের প্রতি ইতালির দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।