গণঅভ্যুত্থান অধ্যাদেশসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের

বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিষদের ২৯তম এই বৈঠকে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন মেহেদী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ড. মোহাম্মদ ইউনূস

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে উত্থাপিত এই অধ্যাদেশের খসড়াটি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যাদেশ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যক্তিদের জন্য সরকারের সহায়তার একটি কাঠামো প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উপদেষ্টা পরিষদ একই বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘দ্য প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিশ (আমেনমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন, যা লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে কার্যকর হবে।

পাশাপাশি, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংক্রান্ত সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সুপারিশের বাস্তবায়নযোগ্যতা, সম্ভাব্য সময়সীমা এবং প্রভাব বিশ্লেষণ করে সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়াও, ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ (সংশোধন), ২০২৫’-এর খসড়াও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।