হেফাজতের হামলায় ইসরায়েল-ভারত বিরোধী সমাবেশ পণ্ড, অভিযোগ বিপ্লবী পরিষদের

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত ইসরায়েল-ভারত বিরোধী এক সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। শুক্রবার (২৩ মে) জুমার নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে।

ছবি - সংগৃহীত

হামলাকারীরা বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার লিখিত ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে তাতে জুতাপেটা করে, হ্যান্ড মাইক কেড়ে নেয়, নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। এ ঘটনায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গুলবুদ্দিন গালীব ইহসান বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শুক্রবার জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলার বিবরণ ও ভিডিও চিত্র থাকার কথা উল্লেখ করে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ফিলিস্তিন-কাশ্মির-আরাকানের মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও জুমার নামাজের পর নেতাকর্মীরা সমাবেশ শুরু করেন।

পরিষদের অভিযোগ, ‘কিছুক্ষণ পর হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা পাশ থেকে এসে আমাদের সমাবেশে বাধা দেয়। শুরুতে হেফাজতের ঢাকা মহানগরের এক নেতা এসে খুবই উগ্রভাবে আমাদের বায়তুল মোকাররমের বাইরে চলে যেতে বলে। এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে আমাদের হ্যান্ড মাইক কেড়ে নেওয়া হয় এবং নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তোলা হয়। এমনকি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, আল্লাহু আকবার ও ফিলিস্তিন-কাশ্মির-আরাকানের স্বাধীনতার দাবি সম্বলিত ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে তাতে জুতাপেটা করা হয়।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, হামলার সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. তোফায়েল আহমদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব মোঃ আশরাফুল ইসলামের দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পরে সমাবেশে হামলা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে পল্টন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।