ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল বার্সেলোনা

গাজায় অব্যাহতভাবে গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেনের বার্সেলোনা সিটি কাউন্সিল। শুক্রবার (৩১ মে) নগর কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বার্সেলোনার ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টি, বামপন্থী দল এবং স্বাধীনতাপন্থী গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।

বার্সেলোনা সিটি কাউন্সিল

কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের অধীনে প্রায় ২০টি পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো ১৯৯৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তেল আবিবের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বন্ধুত্ব চুক্তি স্থগিত করা। কাউন্সিল জানিয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন ও ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই সম্পর্ক স্থগিত থাকবে।’

বার্সেলোনার সোশ্যালিস্ট মেয়র জাউমে কোলবোনি বলেছেন, ‘গত দেড় বছর ধরে গাজায় যে ভয়াবহ মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই শহরের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখা আর সম্ভব নয়।’

বার্সেলোনা সিটি কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইসরায়েল সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত অস্ত্র ব্যবসা, দখলদারিত্ব, বর্ণবৈষম্য ও উপনিবেশবাদে জড়িত কোনো সংস্থাকে বার্সেলোনার বাণিজ্য মেলায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে বার্সেলোনা বন্দরকে ইসরায়েলে অস্ত্র পরিবহনকারী জাহাজ ভিড়তে নিষেধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন মেয়র ও সমাজকর্মী আডা কোলাউ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করেছিলেন।

অন্যদিকে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সকল দেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি স্থগিত করতে এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু দেখেও নীরব থাকা গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি ইউক্রেন ও গাজার মধ্যে ‘দ্বিমুখী নীতি’ পরিহার করারও আহ্বান জানান।

স্পেন এক বছর আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।