রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এ আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। আজকের আলোচনায় মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনের সূত্র জানায়, আজকের সংলাপের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক ধারাবাহিক আলোচনা চলবে। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ও পরে আলোচনা হবে পৃথক পর্বে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের যেসব মৌলিক প্রস্তাবে এখনো ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোই দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

ঐকমত্য গঠনের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসেই একটি সম্মিলিত দলিল প্রণয়ন করার লক্ষ্য নিয়েছে কমিশন, যার নাম হবে ‘জুলাই সনদ’।

কমিশনের তথ্যমতে, এখনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক কাঠামোগত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে-বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ কাঠামো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ ও মেয়াদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজন ব্যক্তি কতবার নির্বাচিত হতে পারবেন, একজন সংসদ সদস্য কতগুলো পদে থাকতে পারবেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি।

তবে এসব বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল আলোচনায় নমনীয়তা দেখিয়েছে এবং আরও সময় নিয়ে আলোচনার পক্ষপাতী বলে জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে-একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ন করা, যাতে ভবিষ্যতের সরকারগুলো জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায়।