বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন: নির্বাচন পেছানোর কোনো কারণ নেই

জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই আয়োজন সম্ভব এবং প্রয়োজন, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এমন কোনো সংস্কার নেই, যেটা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পর যাওয়ার মতো একটি কারণও নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ

সোমবার (২ জুন) বিকেলে ঢাকা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই এমন যেসব সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে, সেগুলো এক মাসের মধ্যে নির্বাহী আদেশেই বাস্তবায়ন সম্ভব। নির্বাচনমুখী যেসব সংস্কার জরুরি, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করে দ্রুত বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজনই এখন দেশের সর্বোচ্চ প্রয়োজন। আজকের বৈঠকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের সময় নিয়ে একই ধরনের মত দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন বলে আশা করি।

সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য প্রসঙ্গে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, সব বিষয়েই হয়তো জাতিগত ঐকমত্য সম্ভব হবে না। তবে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য এখানেই, আলোচনা করে কোথাও আমরা একমত হব, কোথাও একমতের কাছাকাছি পৌঁছাব। এভাবেই একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, , বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেন এক মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এ বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস।

এছাড়া বৈঠকে অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দল।

প্রতিটি দলই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরে।

পটভূমি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা চলছে। এ আলোচনার মাধ্যমে "জুলাই সনদ" নামে একটি ঐতিহাসিক দলিল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন।

প্রথম দফার আলোচনা শেষে সোমবার শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। এই ধাপে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলোর ওপর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে।