জেলেনস্কি: প্রযুক্তিগত উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না

জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো দেশই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দৌড়ে পিছিয়ে থাকার ঝুঁকি নিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) গ্লোবাল সিকিউরিটি ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের স্বল্পমূল্যের ড্রোন হামলার উদাহরণ টেনে এ কথা বলেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ‘স্পাইডারওয়েব’ অপারেশনের কথা উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, দূরবর্তী রুশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে কম খরচের ড্রোন দিয়ে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে এবং এটি একটি ‘সম্পূর্ণ বৈধ’।

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখায় যে যুদ্ধের প্রযুক্তি কতটা বদলে গেছে। ১০ বছর আগেও এমন আক্রমণ ছিল কল্পনাতীত। আবার আজ আমরা কল্পনাও করতে পারি না, আগামী ১০ বছরে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন দেশ কী ধরনের আক্রমণ করতে সক্ষম হবে।’

জেলেনস্কি ইউরোপীয় দেশগুলোকে ড্রোন উৎপাদন ও অর্থায়ন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে পিছিয়ে পড়ার সুযোগ কোনো দেশেরই নেই। আমরা আমাদের ড্রোন উৎপাদন ৪০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের কারখানাগুলো প্রস্তুত, কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে অর্থায়নে।’

এ সময় তিনি ইউক্রেনে গোলাবারুদ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়ায় চেকিয়াকে (চেক প্রজাতন্ত্র) সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগই আধুনিক যুদ্ধের ময়দানে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে পারে।

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘যদি রুশ তেল ব্যারেলপ্রতি ৩০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হতে না পারে, তাহলে মস্কোর মুখে হঠাৎ করেই শান্তির বুলি শোনা যাবে।’ তিনি রুশ বাজেটকে অর্থায়ন করে এমন ফাঁকফোকর বন্ধ করতে ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তব্যের শেষাংশে তিনি ইউক্রেন, মলদোভা ও বলকান রাষ্ট্রগুলোর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টায় আরও শক্তিশালী রাজনৈতিক সমর্থনের আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘কেবল সত্যিকারের ঐক্যের মাধ্যমেই আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের জন্য নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করতে পারি।’