বিজিএমইএ সভাপতি: ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পোশাক খাতের নতুন চ্যালেঞ্জ

চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং এর প্রভাব দেশের তৈরি পোশাক খাতেও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পোশাক খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা কমে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএর নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।

মাহমুদ হাসান খান বাবু

সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের নূরুল কাদের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বিজিএমইএ বোর্ড ২০২৫-২৭’ এর দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিজিএমইএর সাবেক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘ইরান-ইসরায়েল সংঘাত আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লে এর সরাসরি প্রভাব আমাদের ওপর পড়বে এবং তৈরি পোশাক খাতও এই বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করছি, যখন পোশাক খাত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় রাখার জন্য প্রচুর কাজ করতে হবে।’

বিজিএমইএ সভাপতি এই খাতের আরও বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল, উচ্চ সুদের হার, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, দুর্বল অবকাঠামো, মজুরি বৃদ্ধি এবং জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি। তিনি বলেন, ‘এই সবগুলো বিষয় একসঙ্গে আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি করছে।’

তিনি জানান, বিজিএমইএ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে কাজ করছে, যাতে এর হার সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়।

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর পোশাক খাত কর সুবিধা হারাবে, যা আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা সকল অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করব।’

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নতুন কমিটিতে প্রথম সহ-সভাপতি হিসেবে সেলিম রহমান, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবে ইনামুল হক খান এবং সহ-সভাপতি হিসেবে মো. রেজোয়ান সেলিম, মিজানুর রহমান, ভিদিয়া অমৃত খান, মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী ও মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী দায়িত্ব পেয়েছেন।