যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক চুক্তি, আদেশে সই ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শুল্ক চুক্তির কিছু অংশ কার্যকর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এ বিষয়ক একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। খবর বিবিসির।

কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কেয়ার স্টারমার

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা যুক্তরাজ্যের গাড়ির ওপর শুল্ক কমানোর জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তিতে গাড়ির ওপর আগে ধার্যকৃত ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মার্কিন-যুক্তরাজ্য শুল্ক সংক্রান্ত চুক্তিটি আনুষ্ঠানিক প্রকাশের সাত দিন পরে কার্যকর হবে। চুক্তিটি নিয়ে গত মে মাসে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছিলেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।

চলতি বছরের শুরুতে চীন, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এতে বিশ্বজুড়ে আর্থিক অস্থিরতা ও উদ্বেগের মুখে অনেক দেশের অনুরোধে ঘোষিত শুল্কে স্থগিতাদেশ দেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে উদ্যোগী হন চুক্তি করতে। এরপর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শুল্ক চুক্তির ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার ট্রাম্প যে আদেশে সই করেছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মে মাসে সম্মত চুক্তির শর্ত অনুসারে এই বছরের শুরুতে গাড়ি আমদানির ওপর আরোপিত ২৫শতাংশ আমদানি করের পরিবর্তে ১০ শতাংশ শুল্কে যুক্তরাজ্য থেকে ১ লাখ গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেবে সরকার।

এদিকে চুক্তিতে গাড়িসহ যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ পণ্যের উপর ১০শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গাড়ির জন্য শুল্ক কমানো হলেও ইস্পাতের জন্য আগের অতিরিক্ত শুল্ক বহাল রয়েছে।

চুক্তির আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের জন্য একই ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তবে এটি কী হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।

যুক্তরাজ্যের জন্য ইস্পাত শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেই তথ্য জানাবো। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাজ্য খুব সুরক্ষিত। আমি তাদের পছন্দ করি।

এদিকে কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার বলেন, হোয়াইট হাউসের এই পদক্ষেপ উভয় দেশের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন’। এই চুক্তি ব্রিটেন ও আমেরিকার ‘শক্তির লক্ষণ’। যুক্তরাজ্য সরকার আশা করে শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব থেকে ব্রিটিশ ব্যবসাগুলো রক্ষা পাবে।

চুক্তি স্বাক্ষরে খুশি যুক্তরাজ্যের গাড়ি নির্মাতা ব্যবসায়ীরা। গাড়ি নির্মাতা ব্যবসায়ীদের সংগঠন সোসাইটি অব মোটর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্সের প্রধান নির্বাহী মাইক হাউস বলেন, স্বাক্ষরিত চুক্তি গাড়ি নির্মাতাদের শিগগিরই ডেলিভারি শুরু করতে সহায়তা করবে। আমরা চুক্তির সম্পূর্ণ বিবরণ এবং এটি কীভাবে পরিচালিত হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।