ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ইরানের

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিরোধমূলক অভিযান শুরু করেছে ইরান। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ইসরায়েলের একাধিক বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দেশটি। এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং পুরো অঞ্চলে একটি পূর্ণত্রার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইরানি বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোর ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবহৃত বিমান ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করেই এই জবাবি হামলা চালানো হয়েছে। আইআরজিসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতেও এই ধরনের প্রতিরোধমূলক অভিযান ‘ধারাবাহিক, জটিল ও বহুস্তরবিশিষ্ট’ হবে।

এদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইদিওত আহরোনত জানিয়েছে, ইরান জেরুজালেম ও তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে কমপক্ষে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে ধ্বংস করতে পারলেও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ভূমিতে আঘাত হানে। এর ফলে ইসরায়েলের উপকূলীয়, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের পরপরই মধ্য ও উত্তর ইসরায়েলের বহু এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইসরায়েল একযোগে ইরানের একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলার জবাবেই ইরান এই পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করেছে বলে দাবি তেহরানের।

এই পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষেই ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইরান জানিয়েছে, এর আগে চালানো ইসরায়েলি হামলায় তাদের অন্তত ২২৪ জন নাগরিক নিহত এবং এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

দুই দেশই আরও হামলার হুমকি দেওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে হচ্ছে। বিশ্ব নেতারা এই সংঘাতের ব্যাপকতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই সংঘাত এখনই থামানো না গেলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ অবস্থায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র জরুরি আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।