‘গণঅভ্যুত্থান’ নয়, ‘জুলাই বিপ্লব’; সরকারের কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে ‘বিজয় দিবস’ পালনের ঘোষণা

সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ‘গণঅভ্যুত্থান’ হিসেবে আখ্যা দেওয়াকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। তারা এই আন্দোলনকে ‘জুলাই বিপ্লব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং ৫ আগস্টকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের ছবি

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় তারা সরকারের ঘোষিত কর্মসূচির বিপরীতে নিজস্ব কর্মসূচি ঘোষণা করে।

সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব আমাদের প্রজন্মের জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তনের ম্যান্ডেট অর্জন করেছি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘গণঅভ্যুত্থান’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অর্জনকে খাটো করা হচ্ছে। তার মতে, এই শব্দটি শুধু শেখ হাসিনা সরকারের পতনকে স্বীকার করে, কিন্তু রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিপ্লবী তরুণ প্রজন্মের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না।

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তরুণ প্রজন্মকে রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে বঞ্চিত করতে জুলাই বিপ্লবকে ‘গণঅভ্যুত্থান’ বলছে। তারা পুরনো ফ্যাসিবাদী সংবিধানে ফিরে যাওয়ার পথ তৈরি করতে চায়।' তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংশোধন বা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের মতো কিছু সংস্কারের আলোচনা করে তরুণদের মূল দাবি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ‘জুলাই বিপ্লবকে সংস্কারের মুলা দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা যাবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ জুলাই বিপ্লব উদযাপনের জন্য নিজস্ব কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৪ জুলাই ‘বিপ্লব দিবস’, ১৬ জুলাই ‘শহীদ দিবস’ এবং ৫ আগস্ট ‘বিজয় দিবস’ পালন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব জিহাদী ইহসান। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ফজলুর রহমান।