আপনি পড়ছেন

ব্যাপক বিতর্ক ও বিরোধিতার মুখেই অস্ট্রিয়ার সংসদ হোয়াটসঅ্যাপ ও সিগন্যালের মতো গুপ্ত (এনক্রিপ্টেড) বার্তাসেবা পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন পাস করেছে। বুধবার দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষে এই আইনটি পাস হয়। এর ফলে এখন থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বিভাগগুলো উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ সন্দেহভাজনদের ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নজরদারি করতে পারবে।

অস্ট্রিয়ার সংসদ

বিলটির পক্ষে ১০৫ জন এবং বিপক্ষে ৭১ জন সংসদ সদস্য ভোট দেন। ক্ষমতাসীন জোটের শরিক উদারপন্থী নিওস দলের দুজন সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।

নতুন এই আইন অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তে অস্ট্রিয়ার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সাধারণ নাগরিকদের গুপ্ত চ্যাট বার্তাসহ সব ধরনের যোগাযোগের বিষয়বস্তু পড়ার অনুমতি পাবে। প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য এই নজরদারির আদেশ দেওয়া যাবে এবং এর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও রাখা হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থা শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং সাংবিধানিকভাবে হুমকিমূলক কার্যকলাপের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হয়েছে গুপ্ত বার্তা পর্যবেক্ষণের জন্য নজরদারির সফটওয়্যার বা স্পাইওয়্যার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। বিরোধী দলের সমালোচকরা এই আইনের ব্যাপক অপব্যবহার এবং এর ফলে তৈরি হওয়া নিরাপত্তাত্রুটির বিষয়ে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভোট গ্রহণ শেষে দেশটির বৃহত্তম বিরোধী দল ফ্রিডম পার্টি অব অস্ট্রিয়ার (এফপিও) নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র গেরনট ডারমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই আইনটি ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরদারির রঙিন কল্পনা’ এবং ‘নাগরিকদের ওপর নজরদারির জন্য অসাংবিধানিক সফটওয়্যার ব্যবহারের পাঁয়তারা’।

অন্যদিকে, গ্রিনস দলের নেত্রী ও সাবেক বিচারমন্ত্রী আলমা জাদিক জোর দিয়ে বলেন, এসপিও এবং নিওসের মতো নয়, বরং তার দল সরকারে থাকাকালীন পাঁচ বছর ধরে এই বার্তা নজরদারির সফলভাবে বিরোধিতা করে এসেছে। 

তবে এই আইন পাসে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরহার্ড কারনার। ভোটের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ নিরাপত্তা, পুলিশ এবং সর্বোপরি সংবিধান রক্ষার জন্য একটি বিশেষ দিন।’

তিনি আরও যুক্তি দেখান, ‘নির্বাহী বিভাগকে আগে থেকেই চিঠি খোলা এবং সাধারণ টেলিফোন কথোপকথন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া আছে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা এখন আর যোগাযোগের এসব মাধ্যম ব্যবহার করে না; তারা এর পরিবর্তে বার্তাসেবা ব্যবহার করে।’

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.