ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা কিছু বলল জামায়াতে ইসলামী

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেখানে তারা দেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার দাবি জানিয়েছে। দলটির প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে তাদের ভাষায় একটি ‘নীল নকশার নির্বাচন’ ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, ড. ইউনূস নিজে সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন— এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানানো হয়।

গত রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, লন্ডনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা একটি নজিরবিহীন ঘটনা, যা সরকারের নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। এমন পরিকল্পিত নির্বাচন হলে গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে জামায়াতের কোনো দ্বিমত না থাকলেও, এর কার্যকারিতা নিয়ে তারা ভিন্নমত পোষণ করেছেন।

জামায়াতসহ দেশের ২৫টি রাজনৈতিক দল, যারা ‘ঐকমত্য কমিশন’-এর সঙ্গে বৈঠক করেছিল, তারা সবাই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। ডা. তাহের জানিয়েছেন, কেউ শুধু উচ্চকক্ষে এই পদ্ধতি চাইলেও, জামায়াতসহ অনেক দল উভয় কক্ষেই পিআর পদ্ধতি প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্র দখল ঠেকাতে এই নতুন পদ্ধতি অত্যাবশ্যক। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে বা কারও চাপে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জামায়াতের জন্য নির্বাচনে যাওয়া আরও সংকুচিত হয়ে পড়বে।

দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে। ডা. তাহের অভিযোগ করেন, এক বা দুটি দল এই সনদ বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে। তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে ‘জুলাই সনদ’-এর আইনি ভিত্তির দাবি জানিয়েছেন। এই সনদের অধীনে নির্বাচন না হলে তা ‘জুলাই শহীদদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হবে বলেও তারা মনে করেন।

দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জামায়াত জানিয়েছে, সরকার দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আগে এক পক্ষ বাসস্ট্যান্ড দখল করত, এখন অন্য পক্ষ করছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার কীভাবে নির্বাচন করবে, তা নিয়ে তারা শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। তাদের মনে হচ্ছে, সরকার যেন হাত-পা ছেড়ে দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এখনো সম্ভব বলে মনে করে জামায়াত। একইসাথে নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। এই হামলার ষড়যন্ত্র আরও গভীরে বলে মনে করে জামায়াত, যার সবার বিচার হওয়া উচিত।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত। ডা. তাহের বলেন, সরকারের উচিত সব ‘স্টেকহোল্ডার’ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ‘জুলাই সনদ’ ও পিআর পদ্ধতি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত এবং গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি প্রশাসনের ভেতর থেকে ‘ফ্যাসিবাদের দালাল’দের সরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে; তাই আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতীয় পার্টির ব্যাপারেও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. তাহেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও ড. হামিদুর রহমান আযাদ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার দাবি জানিয়েছে। এই লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটির একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে তারা একটি ‘নীল নকশার নির্বাচন’ ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ড. ইউনূস নিজে সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন— এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানানো হয়।

গত রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, লন্ডনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা একটি নজিরবিহীন ঘটনা, যা সরকারের নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। এমন পরিকল্পিত নির্বাচন হলে গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে জামায়াতের কোনো দ্বিমত বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব না থাকলেও, এর কার্যকারিতা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন তারা।

জামায়াতসহ দেশের ২৫টি রাজনৈতিক দল, যারা ‘ঐকমত্য কমিশন’-এর সঙ্গে বৈঠক করেছিল, তারা সবাই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। ডা. তাহের জানিয়েছেন, কেউ শুধু উচ্চকক্ষে এই পদ্ধতি চাইলেও, জামায়াতসহ অনেক দল উভয় কক্ষেই পিআর পদ্ধতি প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্র দখল ঠেকাতে এই নতুন পদ্ধতি অত্যাবশ্যক। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে বা কারও চাপে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জামায়াতের জন্য নির্বাচনে যাওয়া আরও সংকুচিত হয়ে পড়বে।

দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে। ডা. তাহের অভিযোগ করেন, এক বা দুটি দল এই সনদ বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে। তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে ‘জুলাই সনদ’-এর আইনি ভিত্তির দাবি জানিয়েছেন। এই সনদের অধীনে নির্বাচন না হলে তা ‘জুলাই শহীদদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হবে বলেও তারা মনে করেন।

দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জামায়াত জানিয়েছে, সরকার দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আগে এক পক্ষ বাসস্ট্যান্ড দখল করত, এখন অন্য পক্ষ করছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার কীভাবে নির্বাচন করবে, তা নিয়ে তারা শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। তাদের মনে হচ্ছে, সরকার যেন হাত-পা ছেড়ে দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এখনো সম্ভব বলে মনে করে জামায়াত। একইসাথে নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। এই হামলার ষড়যন্ত্র আরও গভীরে বলে মনে করে জামায়াত, যার সবার বিচার হওয়া উচিত।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত। ডা. তাহের বলেন, সরকারের উচিত সব ‘স্টেকহোল্ডার’ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ‘জুলাই সনদ’ ও পিআর পদ্ধতি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত এবং গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি প্রশাসনের ভেতর থেকে ‘ফ্যাসিবাদের দালাল’দের সরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে; তাই আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতীয় পার্টির ব্যাপারেও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. তাহেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও ড. হামিদুর রহমান আযাদ।