আস্থা ভোটে হেরে গেলেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী, ছয় দশকের ইতিহাসে প্রথম

নরওয়ের সংসদীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর-এর লেবার পার্টি নেতৃত্বাধীন সেন্টার-লেফট জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। সোমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে তারা মোট ৮৮টি আসন পেয়েছে, যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৮৫টি আসনের বেশি। প্রাথমিক ফলাফলে এই তথ্য জানা গেছে।

দেশটির প্রায় ৭৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, সেন্টার-লেফট জোট পার্লামেন্টের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ৮৮টি আসন নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, প্রোগ্রেস পার্টি ও কনজারভেটিভদের নেতৃত্বাধীন সেন্টার-রাইট জোট ৮১টি আসন পেয়েছে।

প্রাথমিক ফলাফলে, জোনাস গাহর স্টোর-এর লেবার পার্টি ৫৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, এরপর ৪৭টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে প্রোগ্রেস পার্টি।

সোমবার নরওয়ের জনগণ দেশের পার্লামেন্ট ‘স্টোর্টিং’-এর ১৬৯ জন সদস্যকে নির্বাচিত করার জন্য ভোট দিতে যান। একইসঙ্গে সামি পার্লামেন্টের প্রতিনিধিও নির্বাচিত হয়। নির্বাচনটি একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং জটিল জোট আলোচনার জন্ম দেবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।

এই নির্বাচনটি প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর-এর লেবার পার্টিকে নেতৃত্বাধীন সেন্টার-লেফট জোটের সঙ্গে প্রোগ্রেস পার্টি ও কনজারভেটিভদের নেতৃত্বাধীন সেন্টার-রাইট জোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল।

স্টোর-এর লেবার পার্টি ২০২১ সাল থেকে ইউরো-সংশয়বাদী সেন্টার পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার পরিচালনা করছিল। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও দক্ষতা বিষয়ে ইইউ’র জ্বালানি নির্দেশনার সঙ্গে নরওয়ের সংযুক্তি নিয়ে বিতর্কের জেরে গত জানুয়ারিতে সেই জোট ভেঙে যায়।

প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মোট নয়টি দল পার্লামেন্টে প্রবেশ করবে: বামপন্থীদের মধ্যে লেবার, সোশ্যালিস্ট লেফট, গ্রিনস, সেন্টার এবং রেডস; এবং ডানপন্থীদের মধ্যে কনজারভেটিভস, প্রোগ্রেস, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস এবং লিবারেলস।

নির্বাচনের ফলাফলই নির্ধারণ করবে যে, স্টোর তার প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ বাড়াতে পারবেন, নাকি প্রোগ্রেস পার্টির নেতা সিলভি লিস্টহগ অথবা কনজারভেটিভ নেতা এরনা সলবার্গ প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন।

ভোটারদের প্রধান অগ্রাধিকারের মধ্যে ছিল ক্রমবর্ধমান খাদ্যমূল্য, করনীতি, জনসেবা এবং জ্বালানি নীতি। নরওয়ের ২ ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল এবং ইউরোপের শীর্ষ গ্যাস সরবরাহকারী হিসেবে দেশটির ভূমিকাও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে করনীতি এবং বিদ্যুৎ রপ্তানি নিয়ে তীব্র বিভাজন দেখা গেছে।

নরওয়ের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা অনুযায়ী, দেশকে ১৯টি নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত করা হয়েছে। ১৬৯ আসনের স্টোর্টিং-এ সংখ্যাগরিষ্ঠতা গঠনের জন্য একটি জোটকে ৮৫টি আসন নিশ্চিত করতে হয়।