সংঘর্ষের পর পিছু হটল নেপাল, ফিরল সামাজিক মাধ্যম
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রাণহানির পর অবশেষে বিক্ষোভকারীদের কাছে নতি স্বীকার করেছে নেপাল সরকার। সোমবার রাতে এক জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় দেশটির প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে ফেসবুক, এক্স-সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে আর কোনো বাধা রইল না।

নেপালের যোগাযোগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রীত্থি সুব্বা গুরুং জানান, জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘জেন-জি’র দাবির প্রতি সম্মান জানিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি ‘জেন-জি’ গোষ্ঠীকে তাদের বিক্ষোভ বন্ধ করার অনুরোধ জানান।
তবে মন্ত্রী গুরুং এ-ও জানান, সরকার মনে করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। তার মতে, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে যেহেতু বিক্ষোভ হচ্ছিল, তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা সোমবারের সহিংসতা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে, যাদের ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি বলেন, নিষিদ্ধ সামাজিক মাধ্যমগুলোর মধ্যে এক্স প্ল্যাটফর্ম নেপালের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি অসম্মানজনকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেড় বছর ধরে তাদের নিবন্ধন করার কথা বলছি। তাদের আমরা নেপালের আইন মেনে চলতে বলেছিলাম, যা আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়। কিন্তু এক্স জানিয়েছে, তারা নেপালে নিবন্ধন করবে না।’
গত সপ্তাহে নতুন নিয়মের অধীনে নিবন্ধনের সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় নেপাল সরকার বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়। সরকারের দাবি ছিল, সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুয়া খবর ছড়ানো, জালিয়াতি এবং অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এই আদেশের পর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, এক্স-সহ বেশ কিছু মাধ্যম দেশটিতে বন্ধ হয়ে যায়।
সরকারি এই সিদ্ধান্তের জেরে সোমবার হাজার হাজার তরুণ রাজধানী কাঠমান্ডুর সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করে এগিয়ে যায়। তারা পুলিশের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীরা ‘দুর্নীতি বন্ধ কর, সামাজিক মাধ্যম নয়’ এবং ‘সামাজিক মাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা তুলে নাও’ ইত্যাদি স্লোগান-সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
পুলিশ জলকামান, লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন।
জাতিসংঘ এই প্রাণহানির ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নেপালে বিক্ষোভকারীদের হত্যা ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমরা হতবাক এবং দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.