নেপালের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী

প্রাণঘাতী গণবিক্ষোভের মুখে নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটেছে এবং দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। দুই দিনের এই সহিংস বিক্ষোভে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে সরকার পতনের পর সেনাবাহিনী দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘সেতোপতি’ জানিয়েছে, সেনাবাহিনী সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও কারাগার থেকে বন্দিমুক্তি ঠেকাতে সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল চলমান সংকট সমাধানে সবাইকে শান্ত থাকার এবং সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার থেকে চলা রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ৩৫০ জন আহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌড়েল। তিনি নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী ওলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে নেপালে এই নাটকীয় পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়। তিনি বহুজাতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে হিমালয়ঘেঁষা এই দেশটিতে তাদের কার্যালয় খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবন, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এবং সংসদ ভবনে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।

সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও সহিংসতা থামেনি। বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দেয়।