কাতারে হামলায় উদ্বিগ্ন ইসরায়েলি পরিবার

কাতারের দোহায় হামাস নেতৃত্বের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত ইসরায়েলিদের প্রধান সংগঠন ‘হস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’। সংগঠনটি আশঙ্কা করছে, এই হামলার কারণে গাজায় বন্দী জিম্মিদের মুক্তির সম্ভাবনা আরও কমে গেল। এ ঘটনায় জিম্মিদের পরিবারগুলো চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।

সংগঠনটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করা কাতারের দোহায় হামলার পর জিম্মিদের পরিবারগুলো চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে। দোহার ঘটনাবলি আমরা গভীর উদ্বেগ ও ভারী উৎকণ্ঠার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। ইসরায়েলি বাহিনীর এ হামলার মূল্য হয়তো আমাদের প্রিয়জনদের জীবন দিয়ে দিতে হতে পারে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তাদের ফিরিয়ে আনার সুযোগ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত—তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে।’

উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর ধরে চলা এই সংঘাতে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে। দুটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে কিছু জিম্মিকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে মুক্ত করা গেলেও এই আলোচনা সংঘাতের স্থায়ী অবসান ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় প্রায় ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে এখনো ৪৭ জন গাজায় বন্দী আছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব বন্দীর স্বজনেরা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন।