নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশি পর্যটক: পরিস্থিতি শান্ত, তবে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে

নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যে দেশটির পোখারা শহরে আটকে পড়া বাংলাদেশি পর্যটকরা জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। তারা নিরাপদে আছেন, তবে ফিরতি ফ্লাইটের অনিশ্চয়তায় উদ্বেগে রয়েছেন।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পোখারার হোটেল ক্রিস্টাল প্যালেস থেকে ফোনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে পর্যটক সামিয়া তাবাসসুম বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত, তবে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। আজ সারাদিন হোটেলের ভেতরেই ছিলাম। দোকানপাট বন্ধ, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ চলছে বলে শুনেছি।

সামিয়া, যিনি ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির প্রোডাকশন ইন্টার্ন, ১৩ জনের একটি বাংলাদেশি পর্যটক দলের সঙ্গে ৬ সেপ্টেম্বর নেপালে পৌঁছান। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।

সামিয়া বলেন, আমরা যখন আসি, শুধু জানতাম এখানে ফেসবুক বন্ধ। বুঝিনি এত বড় কিছু ঘটছে। পোখারায় আসার পথে জানতে পারি বিক্ষোভ হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। তখনই চিন্তিত হয়ে পড়ি।

তাদের ফিরতি বিমানের টিকিট ছিল ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার ফ্লাইটে, তবে তা অনিশ্চিত। তিনি বলেন, সব ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল। কাল ফ্লাইট হবে কি না, আজ রাতে হয়তো জানতে পারব।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। দুপুরের পর দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ তীব্র হয়। হোটেলের পাশের একটি ভবনে আগুন লাগানো হয়, এরপর কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। আমাদের গ্রুপের সবাই আতঙ্কে ছিল।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভবনটি এক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে সম্পর্কিত।

সামিয়া বলেন, বেশিরভাগ স্থানীয় বাসিন্দা ঘরে অবস্থান করছেন। রাস্তায় দেখা যাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটক। সবাই অপেক্ষা করছে আপডেটের জন্য।

তিনি আরও বলেন, আজ পরিস্থিতি শান্ত। কোনো আতঙ্ক নেই। মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে কাল ফ্লাইট চলবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।