ইসরায়েল অংশ নিলে ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে স্পেন-স্লোভেনিয়া

ইসরায়েল ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে স্পেন ও স্লোভেনিয়া প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছে। দেশ দুটি ইসরায়েলের সম্ভাব্য অংশগ্রহণের তীব্র বিরোধিতা করছে, যা প্রতিযোগিতা থেকে তাদের সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

সোমবার স্পেনের সংস্কৃতি মন্ত্রী আর্নেস্ট উর্তাসুন প্রকাশ্যে জানান, ইসরায়েলকে বাদ না দিলে তার দেশ প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছে। ‘লা হোরা দে লা ১’ অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় তিনি বলেন, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাবলিক ব্রডকাস্টার আরটিভিই-এর, তবে ইসরায়েল অংশ নিলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হতে পারে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, স্পেন ইতিমধ্যেই ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে এবং সতর্ক করেন যে, ‘যদি ইসরায়েলকে বাদ না দেওয়া হয়’, তবে সরকার ‘অন্যান্য ব্যবস্থা’ বিবেচনা করবে।

তিনি যুক্তি দেন, চলমান গাজা আগ্রাসনের মধ্যে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশ নিতে দেওয়া মানে তাদের ভূমিকা ‘স্বাভাবিক’ করা। অক্টোবর ২০২৩ থেকে এই আগ্রাসনে অন্তত ৬৪,৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই নৃশংস সামরিক অভিযান গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, যেখানে বর্তমানে দুর্ভিক্ষ চলছে।

শুক্রবার স্লোভেনিয়ার পাবলিক ব্রডকাস্টার আরটিভি স্লোভেনিয়া ঘোষণা করেছে যে, যদি ইসরায়েলকে আগামী বছর অংশ নিতে দেওয়া হয়, তবে তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নেবে না। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত জুলাই মাসে ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) সাধারণ পরিষদে স্লোভেনিয়া এই অবস্থান প্রথম প্রকাশ করেছিল।

ইবিইউ সম্প্রচারকদের অংশগ্রহণের সময়সীমা ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আগামী ৪-৫ ডিসেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিত তাদের পরবর্তী সভায় ইসরায়েলের অংশগ্রহণের যোগ্যতা নিয়ে ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে।