কাতার: ইসরায়েলকে অপরাধের জন্য শাস্তি দিন, দ্বিমুখী নীতি পরিহার করুন

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুররহমান আল-থানি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইসরায়েলের বিষয়ে দ্বিমুখী নীতি পরিহার করে তাদের অপরাধের জন্য উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দোহায় আয়োজিত এক জরুরি আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সম্প্রতি দোহায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হওয়ার পর এই জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য দ্বিমুখী আচরণ বন্ধ করে, ইসরায়েলকে তাদের সব অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়ার সময় এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে জানতে হবে, আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাত করার লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, তা সফল হবে না।’

শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুররহমান আল-থানি জানান, গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতে যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য দোহা মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দোহায় ইসরায়েলি হামলা শুধু নিরীহ মানুষের প্রাণহানিই নয়, বরং এটি মধ্যস্থতার নীতির ওপর সরাসরি আঘাত।

এ হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি সেই চরমপন্থী ইসরায়েলি সরকারের কৌশল, যারা আন্তর্জাতিক আইনকে অবজ্ঞা করে। কাতার যখন সরকারি ও জনসাধারণের সঙ্গে শান্তিচুক্তির আলোচনা করছিল, তখনই এ কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হয়েছে, অথচ ইসরায়েলও এ আলোচনা সম্পর্কে অবগত ছিল।’

এদিকে, এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে সমগ্র আরব ও ইসলামী বিশ্ব। অনেকেই এটিকে কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে একটি ‘আগ্রাসী পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করে কাতারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এবং ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।