ইউক্রেনকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নাকচ করল রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনকে সঙ্গে নিয়ে কোনো ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে বসার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়া। তবে চলতি শরৎকালের মধ্যেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বসা হতে পারে বলে জানিয়েছেন রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। মঙ্গলবার রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

রিয়াবকভ জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে শুরু হওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সাক্ষাৎ করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘বৈঠকটির আয়োজন নিয়ে আলোচনা চলছে। আমি মনে করি, এটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।’

ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি যোগ করেন, গত ২৩ জুলাই ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার তৃতীয় পর্বে রাশিয়ার দেওয়া একটি প্রস্তাবের বিষয়ে কিয়েভ এখনো কোনো জবাব দেয়নি।

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা নিরসনে চতুর্থ দফার দ্বিপাক্ষিক আলোচনা প্রসঙ্গে রিয়াবকভ জানান, বৈঠকটি একাধিকবার স্থগিত করা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন যে এই বিলম্ব কেবল ব্যবস্থাপনার কারণে নয়, বরং কৌশলগত। কারণ মস্কো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার পরিবর্তে কার্যকর অগ্রগতি চায়। ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের বিষয়ে পর্দার আড়ালে ক্ষেত্র প্রস্তুত করা যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমার কথা বলি, তাহলে আমাদের লক্ষ্য হলো অন্তত শরৎকালের শেষ নাগাদ এমন একটি বৈঠক আয়োজন করা।’

 রিয়াবকভের মতে, একদল ‘উন্মত্ত সামরিকতাবাদী’ এবং যারা ‘একটি পারমাণবিক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় মৌলিকভাবে অসম্ভব’—এই কঠিন বাস্তবতা মেনে নিতে পারছে না, তারাই ‘দুর্ভাগ্যবশত বিচক্ষণ মূল্যায়নগুলোকে চাপা দিয়ে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, ইউরোপীয় গোষ্ঠীর তৈরি এই অযৌক্তিক কোলাহল যেন ওয়াশিংটনে এখনো শোনা যাওয়া সাধারণ জ্ঞানকে ছাপিয়ে না যায়।’

ইউরোপকে রাশিয়ার জ্বালানির পরিবর্তে মার্কিন জ্বালানি ব্যবহারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানের বিষয়ে রিয়াবকভ বলেন, তিনি এতে নতুন কিছু দেখছেন না। তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়ার জ্বালানি খাত বাজারের এই ধরনের প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত।

রিয়াবকভ জোর দিয়ে বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সম্পর্ক উন্নয়নে মার্কিন প্রশাসনের অঙ্গীকার। তার মতে, গত মাসে আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই দিকনির্দেশনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।