এরদোয়ান: দামেস্ককে কখনো পরিত্যাগ করবে না আঙ্কারা

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়ার প্রতি আঙ্কারার অবিচল সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তুরস্ক কখনোই দামেস্ককে পরিত্যাগ করবে না এবং প্রতিবেশী এই দেশটিকে শক্তিশালী করতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

রোববার ইস্তানবুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোয়ান জানান, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আশ-শারা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আশ-শাইবানিকে শিগগিরই আঙ্কারায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া, নিউইয়র্কের তুর্কেভি সেন্টারেও তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জাতিসংঘের এবারের অধিবেশন আগেরগুলোর চেয়ে ভিন্ন হবে উল্লেখ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এবার অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। আমরা আশা করি, এই স্বীকৃতিগুলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথ সুগম করবে।’ এরদোয়ান নিশ্চিত করেন যে, তুরস্ক ফিলিস্তিনের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

সফরকালে এরদোয়ান বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার ভাষণে তিনি গাজায় চলমান মানবিক সংকট ও গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা রক্ষায় তুরস্কের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক শান্তিতে দেশটির অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করবেন।

জাতিসংঘের বর্তমান কাঠামোকে ৮০ বছরের পুরোনো বাস্তবতার প্রতিফলন হিসেবে আখ্যায়িত করে এরদোয়ান নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মানবিক সংকট সমাধানের ভার নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতার অধিকারী কয়েকটি দেশের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।’ তিনি তার পুরোনো স্লোগান, ‘বিশ্ব পাঁচটি দেশের চেয়ে বড়’, এর কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

এই সফরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে, যেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা শিল্পসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।