পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফেরত আনতে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্র সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গারের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই সহায়তা চান।

বৈঠকে ড. ইউনূস বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কার এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি বিভিন্ন বিশ্ব নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যন্থোনি আলবানিজকে আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ড. ইউনূসের কাছে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ব ব্যাংক এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।

অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসেবে ড. ইউনূস বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলার সঙ্গেও বৈঠক করেন। এ সময় তিনি স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে ডব্লিউটিওর পূর্ণ সমর্থন কামনা করেন। প্রেস সচিব জানান, ২০২৬ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের কথা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ডব্লিউটিওর মহাপরিচালককে বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর অনেক দেশ বাণিজ্য সুবিধা হারানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ যেন একই সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে জন্য ডব্লিউটিওর কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।

এছাড়াও, ড. ইউনূস নেদারল্যান্ডসের রাণী ম্যাক্সিমা এবং প্যারিসের মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তার সফরসূচিতে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, ইতালির প্রধানমন্ত্রী, কসোভোর প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে।

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত ১৪ মাসের সংস্কার কার্যক্রম, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব।