জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় অনুপস্থিত ছিল বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে দাবি ছড়ানো হয়েছে, তা ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার’ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, সত্য বিকৃত করা এখন পতিত শক্তির একমাত্র আশ্রয়স্থল। তিনি স্পষ্ট করে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওইদিন সকালে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন এবং নির্ধারিত বৈঠকগুলো শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ইউএনজিএ হলে প্রবেশ করে।

আজাদ মজুমদার জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে (নিউইয়র্ক সময়) প্রধান উপদেষ্টার দুটি সরকারি কর্মসূচি ছিল। সকাল ৯টায় একটি হোটেলে নিযামী গঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের (যেখানে বিভিন্ন দেশের সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানরা যুক্ত আছেন) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

তিনি বলেন, এই দুটি বৈঠক শেষে যখন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সাধারণ পরিষদের হলে প্রবেশ করে, তখন সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস ভাষণ দিচ্ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহু ছাড়াও পাকিস্তান ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ তখন পর্যন্ত শেষ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় হলে ছিল না।

নেতানিয়াহু যখন ভাষণ শুরু করেন, তখন বহু দেশ একযোগে হল ত্যাগ করে। শূন্য আসনের ভেতরে বিশেষ করে ইরানের আসনের পাশে শিশুদের ছবি সাজানো ছিল, যাদের তেহরান দাবি করেছে, ইসরায়েলের হামলায় তারা নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘে সমালোচক ও বিক্ষোভকারীদের মাঝে দাঁড়িয়ে নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত’ ইসরায়েল পিছপা হবে না। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলোর অনেকেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে, ‘কিন্তু ইসরায়েল তা করবে না।’

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, আপনাদের এই লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করবে, যা কেবল ইহুদিদের নয়, নিরীহ মানুষদেরও বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।