ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজার পথে ১০ জাহাজের নতুন বহর

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে একটি নতুন নৌবহর যাত্রা শুরু করেছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের সহযোগিতায় ‘গাজার অবরোধ ভাঙার আন্তর্জাতিক কমিটি’ শনিবার ইতালির বন্দর থেকে ১০টি বেসামরিক জাহাজের এই বহরটির যাত্রা শুরু করে।

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইতালির সিসিলি দ্বীপের কাতানিয়া শহরের সান জোভান্নি লি কুটি বন্দর থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়। এতে ২০টিরও বেশি দেশের প্রায় ৭০ জন অধিকারকর্মী অংশ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের নয়জন নির্বাচিত সংসদ সদস্যও রয়েছেন।

কমিটি জানায়, গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের দ্বিতীয় বছর শুরু হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া হলো, যখন সেখানে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ, ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার, শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা এবং সাংবাদিক, চিকিৎসা কর্মী, হাসপাতাল ও বাস্তুচ্যুত পরিবারের ওপর বারবার হামলা চালানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে বিশ্বশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়, তারা এই বিষয়ে নীরবতা পালন করছে এবং একই সঙ্গে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ ও জবাবদিহিতা থেকে রক্ষা করে চলেছে।

আয়োজকদের মতে, এই নৌবহরটি গত ১৫ বছরে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের চালু করা অন্যান্য সামুদ্রিক অভিযানের ধারাবাহিকতা। এর আগে ম্যাডলেন, হানদালা এবং আরও কয়েক ডজন নৌকার পাশাপাশি গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজগুলোও একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলোকেই আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি বাহিনী বাধা দেয় বা আক্রমণ করে।

কমিটির চেয়ারম্যান জাহের বিরাউয়ি জানিয়েছেন, এই বৈশ্বিক অভিযান তার মহৎ মানবিক লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত থামবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতাকামী কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হুমকি উপেক্ষা করে এই জাহাজগুলো গাজার দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।

দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজাগামী জাহাজ আটক, জব্দ এবং কর্মীদের নির্বাসিত করার অভিযোগ রয়েছে। সমালোচকরা ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের তদন্তকারীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সেখানে প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।