পোর্টল্যান্ড ‘রক্ষায়’ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওরেগনের পোর্টল্যান্ড শহরে মার্কিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্থাপনা ও শহরের জননিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে উল্লেখ করে শনিবার তিনি এই ঘোষণা দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানান, প্রয়োজনে পূর্ণশক্তি ব্যবহারের অনুমোদনও দিয়েছেন তিনি।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের অনুরোধে আমি যুদ্ধমন্ত্রী পিট হিগসেথকে যুদ্ধবিধ্বস্ত পোর্টল্যান্ড এবং অ্যান্টিফা ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে থাকা আমাদের যেকোনো আইসিই স্থাপনা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব সেনা সরবরাহের নির্দেশ দিচ্ছি’।

পোর্টল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) ভবনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রীয় এজেন্ট এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কয়েক মাস ধরে সেখানে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছেন। আইসিই ভবনে যুক্তরাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়ানোর খবরের পর পোর্টল্যান্ডের নেতারা সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। শহরের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কঠোর সমালোচক এবং তারা ভূমি ব্যবহার আইন লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে স্থাপনাটি বন্ধের চেষ্টা করছেন।

ট্রাম্প কোন সামরিক শাখার সৈন্য পাঠাতে যাচ্ছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন এবং টেনেসির মেমফিসে একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

সোমবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে অ্যান্টিফা আন্দোলনকে একটি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেন। ফ্যাসিবাদ-বিরোধী শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ অ্যান্টিফা মূলত কোনো নির্দিষ্ট নেতৃত্ব বা সদস্যসহ একক সংগঠন নয়, বরং এটি একটি বামপন্থী রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে পরিচিত।

চলতি মাসের শুরুতে রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে হত্যার পর হোয়াইট হাউস বামপন্থী দলগুলোকে লক্ষ্য করে তাদের তৎপরতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। ওই হত্যাকাণ্ডসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য বামপন্থী দলগুলোকেই দায়ী করে আসছে তারা। তবে ট্রাম্পের সমালোচকরা বলছেন, কার্ক হত্যাকাণ্ডের কোনো উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি এবং কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে এর সঙ্গে জড়িত করা হয়নি। তারা বিভিন্ন গবেষণার তথ্য দিয়ে আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত বেশিরভাগ সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ডানপন্থী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিরাই দায়ী।