বিক্ষোভে উত্তাল জর্জিয়া, প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘সরকার পতনের ষড়যন্ত্র চলেছে’

জর্জিয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী জয়ের পর দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে অভিযোগ করেছেন, বিরোধীরা বিক্ষোভের নামে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে। শনিবারের স্থানীয় নির্বাচনে তার দল জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই রাজধানী তবিলিসিতে বিক্ষোভ চলছে।

জর্জিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ক্ষমতাসীন দল প্রায় ৮১.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। তবে বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচন বর্জন করে ফলাফলকে ‘অবৈধ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিরোধীরা রাজধানী তবিলিসিতে ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবন অর্বেলিয়ানি প্যালেস ঘেরাও করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে মরিচের ঝাঁজালো গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে।

সহিংসতার ঘটনায় বিক্ষোভের পাঁচজন আয়োজককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে ছয়জন বিক্ষোভকারী এবং ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কোবাখিদজে বলেন, ‘বিক্ষোভে পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ অংশ নেয়, যাদের লক্ষ্যই ছিল সরকার পতন ঘটানো। তারা সক্রিয়ভাবে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছে। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন নিজেদের আড়াল করতে চাইছে, কিন্তু কেউ দায়িত্ব এড়াতে পারবে না’।

প্রধানমন্ত্রী কোবাখিদজে এই বিক্ষোভে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পাওয়েল হারচিনস্কির ‘বিশেষ ভূমিকা’ ছিল বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতের উচিত ছিল এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং প্রকাশ্যে এর নিন্দা জানানো’।

যদিও ইইউ কোবাখিদজের সর্বশেষ অভিযোগের বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে এর আগে গত জুলাই মাসেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় ইইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষের ছড়ানো ‘অসত্য তথ্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ’ প্রত্যাখ্যান করছে এবং রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণের’ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।