সর্বজনীন পেনশন: প্রথম বছরেই ১৬ কোটি টাকা মুনাফা

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রথম বছরেই মুনাফার মুখ দেখল গ্রাহকরা। চালু হওয়ার প্রথম বছরে জমাকৃত অর্থে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বেশি মুনাফা হওয়ায় অংশগ্রহণকারীদের হিসাবে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ জমা হচ্ছে। সোমবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই মুনাফা বণ্টনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পেনশন স্কিমে মোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৭ জন নাগরিক চাঁদা জমা দিয়েছেন। গ্রাহকদের চাঁদা এবং স্কিমের প্রারম্ভিক স্থিতিসহ তহবিলের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮৭ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৪ টাকা। গ্রাহকরা তাদের নিজ নিজ পেনশন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজেদের হিসাবে জমা হওয়া মুনাফার পরিমাণ দেখতে পারবেন।

সভায় স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত ‘সুরক্ষা’ স্কিমের চাঁদার ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উচ্চ আয়ের নাগরিকদের আকৃষ্ট করতে এই স্কিমে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, যা ‘প্রগতি’ স্কিমের সমান।

পাশাপাশি, আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তারা ‘প্রগতি’ স্কিমের অধীনে অংশ নিতে পারবেন এবং তাদের জন্য সর্বনিম্ন চাঁদার পরিমাণ ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এই চাঁদার সম্পূর্ণ অংশ কর্মীকেই বহন করতে হবে।

এছাড়া, সভায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের একটি ইসলামি সংস্করণ চালুর বিষয়ে আলোচনা হয় এবং এ নিয়ে একটি ধারণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে পেনশন স্কিমে বিমা সুবিধা যুক্ত করার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।