পেনাল্টি মিসের পরও হ্যাটট্রিক, হালান্ড শোতে বিধ্বস্ত ইসরায়েল

আর্লিং হালান্ডের অসাধারণ হ্যাটট্রিকে ইসরায়েলকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে নরওয়ে। এই জয়ের মাধ্যমে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল নরওয়েজিয়ানরা।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা ফরোয়ার্ডের জন্য সবকিছু ঠিকঠাক ছিল না। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তিনি দুটি পেনাল্টি পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন। দুবারই তার শট রুখে দেন ইসরায়েলি গোলরক্ষক ড্যানিয়েল পেরেজ। তবে এই ধাক্কা সামলে নরওয়ে লিড নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি। আলেকজান্ডার সোরলথের ক্রসে ইসরায়েলি মিডফিল্ডার আনান খালাইলি নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন।

এরপরই শুরু হয় হালান্ড শো। ডান পায়ের নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই একটি হাস্যকর গোলে ব্যবধান আরও বাড়ে। গোলরক্ষক পেরেজের ক্লিয়ার করা বল নিজ দলের ডিফেন্ডার ইদান নাখমিয়াসের গায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়। ৬৩তম মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন হালান্ড। এরপর ৭২তম মিনিটে আন্তোনিও নুসার ক্রস থেকে হেডের মাধ্যমে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি।

এই হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড দেশের হয়ে ৪৬ ম্যাচে ৫১ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। তিনি এখন আন্তর্জাতিক ফুটবলে দ্রুততম সময়ে ৫০ গোল করা খেলোয়াড়। এই রেকর্ড গড়তে তিনি পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনকে, যার লেগেছিল ৭১ ম্যাচ। এটি নরওয়ের জার্সিতে হালান্ডের ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক।

এই জয়ে গ্রুপ ‘আই’-এর শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে নরওয়ে। অন্যদিকে, গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইতালি ৩-১ গোলে এস্তোনিয়াকে হারিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। ফিওরেন্টিনার ময়েস কিন, মাতেও রেতেগুই এবং ইন্টার মিলানের ফ্রান্সেসকো এসপোসিতো ইতালির হয়ে গোল তিনটি করেন। এস্তোনিয়ার পক্ষে একমাত্র সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন রাউনো সাপিনেন।

এই ফলাফলের পর নরওয়ের পয়েন্ট ১৮ এবং এক ম্যাচ কম খেলা ইতালির পয়েন্ট ১২। আগামী ১৪ অক্টোবর রোমে ইতালি ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচে জিতলে তারা নরওয়ের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমাতে সক্ষম হবে।