গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় ইইউর পূর্ণ সমর্থন

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি পরিকল্পনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছে। সোমবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এই সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন এবং জানান যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইইউ সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া শান্তি পরিকল্পনাকে পুরোপুরি সমর্থন করে। শার্ম আল-শেখে আজ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর এই চুক্তির চূড়ান্ত রূপ দেওয়া একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হবে।’

তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে এই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নে ইইউ তার হাতে থাকা সব ধরনের সরঞ্জাম দিয়ে অবদান রাখতে প্রস্তুত। এর মধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসনব্যবস্থা ও সংস্কারে সহায়তা প্রদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভন ডার লিয়েন যোগ করেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি দাতা গোষ্ঠীর মধ্যে একটি সক্রিয় শক্তি হিসেবে কাজ করব এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য ইইউ তহবিল সরবরাহ করব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ঘোষণা করেন যে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার ২০-দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পর্যায়ক্রমিক প্রত্যাহার। পরিকল্পনার প্রথম ধাপটি শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে বাদ দিয়ে গাজায় একটি নতুন শাসক কর্তৃপক্ষ গঠন, একটি বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৭,৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই বর্বরোচিত হামলায় উপত্যকাটি বসবাসের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে।