‘গাধার মতো একদিকে যেতে থাকি’, ক্রীড়াঙ্গনের ভিশন নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার হতাশা

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একটি টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য ফিফার কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকার অনুদান পেতে যাচ্ছে, তবে এই অর্থ ছাড় করাতে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু করার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ফিফা ফরোয়ার্ড প্রজেক্টের আওতায় নির্মিত কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশের কৃত্রিম ঘাসের মাঠ উদ্বোধনের সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এই তথ্য জানান। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এই অনুদান ফেরত যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

প্রায় তিন বছর আগে ‘সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ নামে এই প্রকল্পটি হাতে নেয় বাফুফে। প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে জমি বরাদ্দ পেলেও সেটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পড়ায় পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে সেখানে নির্মাণকাজ এগোয়নি। পরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রস্তাবে একই উপজেলার রশিদনগরে নতুন জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি এখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রসেসিংয়ে আছে। আশা করি, ফান্ড আমাদের এখান থেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হবে না। এর মধ্যেই আমরা বাফুফে ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারব’।

একই সঙ্গে তিনি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন। তার মতে, ‘আমাদের খেলাধুলায় আসলে কোনো ভিশন নেই। আমরা গাধার মতো একদিকে যেতে থাকি, যেদিকে চোখ যায়। আমাদের এখনই একটা স্পষ্ট ভিশন সেট করা দরকার—আগামী ১০ বছরে আমরা কী অর্জন করতে চাই’।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নিজস্ব কোনো মাঠ নেই। ফিফার অর্থায়নে প্রস্তাবিত এই টেকনিক্যাল সেন্টারটি নির্মিত হলে সেই আক্ষেপ ঘুচবে। বাফুফের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেখানে একটি ঘাসের মাঠ, একটি কৃত্রিম টার্ফ, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল এবং ফুটবলারদের জন্য একটি একাডেমিক ভবনসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে।