২০২৮ সালের মধ্যে রুশ গ্যাস আমদানি বন্ধের পরিকল্পনায় একমত ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। জোটের সদস্য দেশগুলো ‘রিপাওয়ারইইউ’ কৌশলের আওতায় রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য নতুন নিয়মে সম্মত হয়েছে।

প্রস্তাবিত এই প্রবিধানের অধীনে রাশিয়া থেকে পাইপলাইন গ্যাস এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) উভয়ের আমদানি ধাপে ধাপে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পুরোপুরি কার্যকর হবে।

ডেনমার্কের জলবায়ু, জ্বালানি ও পরিষেবা বিষয়ক মন্ত্রী লার্স আগগার্ড ইইউ কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন ইউরোপ হলো আরও শক্তিশালী ও নিরাপদ ইউরোপ। তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপ থেকে রাশিয়ার গ্যাস ও তেল বের করে দেওয়ার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালানো হলেও তারা এখনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। তাই ড্যানিশ প্রেসিডেন্সি ইউরোপের জ্বালানি মন্ত্রীদের কাছ থেকে এই আইন প্রণয়নে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করেছে, যা ইইউতে রুশ গ্যাসের প্রবেশ চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করবে।

কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রাশিয়ার গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করা হবে, তবে বিদ্যমান চুক্তিগুলোর জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় থাকবে। ২০২৫ সালের ১৭ জুনের আগে স্বাক্ষরিত স্বল্পমেয়াদি চুক্তিগুলো ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চলতে পারবে। অন্যদিকে, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিগুলো ২০২৮ সালের শুরু পর্যন্ত কার্যকর রাখার সুযোগ থাকবে।

সদস্য রাষ্ট্রগুলো এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নতুন শুল্ক ও অনুমোদন বিধিমালায় সমর্থন জানিয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং এলএনজি কার্গোর উৎস যাচাইয়ের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যেসব দেশ এখন আর রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি করে না, তাদের বিকল্প সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা জমা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য দেশগুলোকে অবশ্যই বিকল্প সরবরাহের রূপরেখা জমা দিতে হবে।

এই চুক্তির পর বিষয়টি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য যাবে। আইনটি চূড়ান্ত হওয়ার আগে পার্লামেন্টকে নিজস্ব অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।