৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা এনসিপির, ঢাকার আসনে লড়বেন নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তার দল আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকেই আসতে হবে, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে নয়।

রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।

কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ঢাকার ছেলে, ঢাকাই থেকে দাঁড়াব।

দলীয় সাংগঠনিক অগ্রগতি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, এনসিপির এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। যে জেলাগুলোতে এখনো কমিটি হয়নি, সেখানে এই মাসের মধ্যেই কমিটি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, গণভোট নির্বাচনপূর্ব বা নির্বাচনের দিন, যেকোনো দিনই হতে পারে, বিষয়টা সরকারের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ অবশ্যই ড. ইউনূসের কাছ থেকে আসতে হবে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এলে সনদের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বিএনপি ও জামায়াতকে উদ্দেশ করে নাহিদ বলেন, গণভোটের সময় নিয়ে তারা অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করছে, যাতে জনগণের মনোযোগ মূল সংস্কার বিষয়গুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়।

তিনি বলেন, যেদিন জুলাই সনদে স্বাক্ষর হয়, সেদিন থেকেই জাতীয় ঐক্য ভেঙে যায়। তবে এখনো সময় আছে, সবাই চাইলে ঐক্য পুনর্গঠন সম্ভব।

নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেন, এনসিপি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়াকেই সমর্থন করে। সেখানে বলা হয়েছে, গণভোগের অনুমোদন পেলে তা বিল আকারে পাস করতে আগামী সংসদ বাধ্য থাকবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি ওই খসড়া বদলে দেওয়া হয়, আমরা আমাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করব। সরকার বিভিন্ন চাপের মুখে জুলাই সনদের পাঠ্য বদলে দিচ্ছে, এটা আমরা মানি না।

নাহিদ অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন নতুন দল হিসেবে আমাদের সহযোগিতা না করে উল্টো বাধা দিচ্ছে। ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে এক মাস আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। আমরা এখনো সেই প্রতীকই চাই।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ কে জারি করবেন এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, যদি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এতে স্বাক্ষর করেন, তাহলে সেটা হবে সংস্কারের কফিনে শেষ পেরেক। কারণ এ প্রক্রিয়া জনগণের নয়, উপদেষ্টা সরকারের নেতৃত্বাধীন হওয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে জুলাই মাসের গণহত্যাকে সমর্থন করছে। ভারত তার অবস্থান না বদলালে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।