সুদানে শান্তি ফেরাতে তৎপর যুক্তরাষ্ট্র

সুদানের চলমান গৃহযুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সম্প্রতি দেশটির দারফুর অঞ্চলের একটি শহরে আধাসামরিক বাহিনীর হাতে গণহত্যার অভিযোগ ওঠার পর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হলো।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সুদানের ভয়াবহ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’

সম্প্রতি সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশির শহরটি দখল করে নেয় আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। ওই অঞ্চলে এটি ছিল সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। এই দখলের মাধ্যমে আরএসএফ দেশটির এক-চতুর্থাংশের বেশি এলাকার ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) জানিয়েছে, তাদের কৌঁসুলিরা আল-ফাশিরে সংঘটিত গণহত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ সংগ্রহ করছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের তথ্যমতে, শহরটি দখলের সময় শত শত বেসামরিক নাগরিক ও নিরস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানায়, আরএসএফ যোদ্ধারা নারী ও শিশুদের কাছ থেকে পুরুষদের আলাদা করে গুলি করে হত্যা করে। তবে আরএসএফ বরাবরই বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ধরনের ক্ষতি করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সুদানের বর্তমান গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রে রয়েছে দুটি প্রধান সশস্ত্র গোষ্ঠী—র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ)। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এই দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়, যা দেশটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে।