সিজার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ওয়াশিংটনে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

সিরিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ‘সিজার নিষেধাজ্ঞা’ পুরোপুরি প্রত্যাহারের লক্ষ্যে ওয়াশিংটনে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। এই ঐতিহাসিক সফরের অংশ হিসেবে তিনি রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান মাস্টের সঙ্গে দেখা করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও তার বৈঠকের কথা রয়েছে।

ব্রায়ান মাস্ট প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইসরায়েলপন্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি এর আগে বাশার আল-আসাদের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৯ সালে সিরিয়ার ওপর আরোপিত সিজার আইন প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছিলেন।

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে মাস্ট জানান, যুদ্ধ, আইএসআইএস এবং চরমপন্থা থেকে মুক্ত একটি সিরিয়ার ভবিষ্যৎ কীভাবে গড়া যায়, তা নিয়ে আল-শারার সঙ্গে তার ‘দীর্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ হয়েছে।

মাস্ট আরও জানান, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট তাকে বলেছেন যে তার দেশ ‘অতীত থেকে মুক্তি’ পেতে এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের একজন মহান মিত্র’ হতে চায়। মাস্ট যোগ করেন, ‘আজ তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আইএসআইএস-কে পরাজিত করার বৈশ্বিক জোটে যোগ দেবেন।’

উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালে সিরিয়ার স্বাধীনতার পর দেশ থেকে কোনো নেতার এটিই প্রথম ওয়াশিংটন সফর। এর আগে গত মে মাসে সৌদি আরবে আল-শারার সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ১৮০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও ‘সিজার সিরিয়া বেসামরিক সুরক্ষা আইন’-এর অধীনে মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এখনও কার্যকর রয়েছে।

ওয়াশিংটন সফরের সময় আল-শারা রিপাবলিকান প্রতিনিধি জো উইলসন এবং মার্লিন স্টুটজম্যানের সঙ্গেও বৈঠক করেন। বৈঠকের পর জো উইলসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘একটি মুক্ত, ঐক্যবদ্ধ এবং সমৃদ্ধ সিরিয়া শীতল যুদ্ধের অবসানের পর সবচেয়ে বড় সুযোগ। আমাদের অবশ্যই সিরিয়াকে একটি সুযোগ দিতে হবে এবং সিজার আইনের একটি সম্পূর্ণ ও চূড়ান্ত প্রত্যাহার অর্জন করতে হবে।’