উপসাগরীয় অঞ্চলে সিঙ্গাপুরগামী ট্যাঙ্কার জব্দ করল ইরান

ইরান নিশ্চিত করেছে যে তাদের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে। পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যবাহী ট্যাঙ্কারটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে শুক্রবার একজন মার্কিন কর্মকর্তা ও সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সূত্র জানিয়েছিল যে, ইরানি বাহিনী একটি তেল পণ্যবহনকারী ট্যাঙ্কার আটক করে তাদের জলসীমায় নিয়ে গেছে। গত জুন মাসে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলার পর এটিই তেহরানের প্রথম ট্যাঙ্কার জব্দের ঘটনা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরজিসির বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ট্যাঙ্কারটি অননুমোদিত পণ্য বহনের মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করেছে। তবে ঠিক কী ধরনের আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

জানা গেছে, মার্শাল আইল্যান্ডসের পতাকাবাহী ‘তালারা’ নামের ট্যাঙ্কারটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে উচ্চ-সালফারযুক্ত গ্যাসঅয়েল নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে ছিল। শুক্রবার আরব আমিরাতের খোর ফাক্কান উপকূল থেকে প্রায় ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকার সময় এটি ইরানের নিয়ন্ত্রণে আসে।

জাহাজটির ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান কলাম্বিয়া শিপ ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে ট্যাঙ্কারটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারা আরও জানায়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজের অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। ট্যাঙ্কারটির মালিক সাইপ্রাসভিত্তিক পাশা ফাইন্যান্স।

মার্কিন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলার পর গত জুন মাস থেকে ইরান এ ধরনের অভিযান বন্ধ রেখেছিল। ফলে, এবারের আটকের ঘটনাটিকে অপ্রত্যাশিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এর আগেও ইরান বিভিন্ন সময়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করেছে। সাধারণত চোরাচালানের সন্দেহ, প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা আইনি বিরোধের অভিযোগে তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। সর্বশেষ ট্যাঙ্কার জব্দের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের এপ্রিলে।