প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেল এনভিডিয়ার আয়, শেয়ারের দামে উল্লম্ফন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চিপের ব্যাপক চাহিদার ওপর ভর করে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো আয় করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া। ২০২৬ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির আয় ও রাজস্ব উভয়ই বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে এবং চতুর্থ প্রান্তিকের জন্যেও শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার প্রকাশিত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এনভিডিয়ার নিট আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ১৯১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে এর রাজস্ব ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ৭০১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১.৩০ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১.০৮ ডলার।

এনভিডিয়া জানিয়েছে, চলতি প্রান্তিকে তাদের প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার রাজস্ব হতে পারে, যা বাজারের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যবসা, ডেটা সেন্টার বিভাগ, এই প্রান্তিকে ৫ হাজার ১২০ কোটি ডলারের বিক্রি রেকর্ড করেছে, যা বাজারের পূর্বাভাসকে অনেক পেছনে ফেলেছে। এর মধ্যে কম্পিউট বা গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) থেকে এসেছে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার এবং নেটওয়ার্কিং সরঞ্জাম বিক্রি থেকে এসেছে ৮২০ কোটি ডলার।

গেমিং বিভাগ থেকে এনভিডিয়ার আয় হয়েছে ৪৩০ কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। প্রফেশনাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন বিভাগ এই প্রান্তিকে ৭৬ কোটি ডলার বিক্রি করেছে, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি। এছাড়া, অটোমোবাইল ও রোবটিকস বিভাগ থেকে বিক্রি এসেছে ৫৯.২ কোটি ডলার, যা বছরে ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং বলেছেন, ‘আমাদের ব্ল্যাকওয়েল জিপিইউর বিক্রি অভাবনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ক্লাউড জিপিইউগুলো সব বিক্রি হয়ে গেছে। প্রশিক্ষণ এবং অনুমান—উভয় ক্ষেত্রেই কম্পিউটিংয়ের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি সুচক্রে প্রবেশ করেছি। নতুন মডেল নির্মাতা, নতুন এআই স্টার্টআপ এবং বিভিন্ন শিল্প ও দেশে এআই ইকোসিস্টেম দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন সর্বত্র এবং একযোগে সবকিছু করছে।’

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বুধবার কর্মঘণ্টা পরবর্তী লেনদেনে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ বা জিপিইউর অদম্য চাহিদার কারণে এনভিডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তি খাত এআইয়ের অগ্রগতির শক্তি পরিমাপক হিসেবে এনভিডিয়ার বিক্রি এবং পূর্বাভাসের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখে।