সৌদিতে বিপুল খনিজ সম্পদ আবিষ্কার, আরও বড় প্রাপ্তির আশা

সৌদি আরবের নাজরান অঞ্চলে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টন মূল্যবান খনিজ সম্পদের বিশাল মজুত শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় খনিশিল্প প্রতিষ্ঠান আলমাসানে আলকোবরা মাইনিং কোম্পানি (এএমএকে)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, আবিষ্কৃত সম্পদের মধ্যে স্বর্ণ, তামা, দস্তা ও রুপার মতো অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। এই আবিষ্কার সৌদি আরবের খনি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (৩০ নভেম্বর) সৌদি শেয়ারবাজার তাদাউলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে-অনুসন্ধানের অনুমতিপত্র পাওয়ার পরই তারা অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক খনন কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত মোট এলাকার মাত্র ১০ শতাংশেরও কম, প্রায় ২৭ হাজার মিটার খনন করা হয়েছে এবং তাতেই এই বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদের সন্ধান মিলেছে। প্রাথমিক মূল্যায়নে ধারণা করা হচ্ছে, অনুসন্ধান অব্যাহত থাকলে আরও সম্পদ আবিষ্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এএমএকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফরি ম্যাকডোনাল্ড-ডে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সামান্য একটি অংশই অনুসন্ধান করেছি। আমাদের বিশ্বাস, সম্পদের পরিমাণ বাড়তে থাকবে এবং তা প্রায় ২ কোটি টনে পৌঁছাতে পারে, যা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে আরও শক্তিশালী করবে।’

তিনি আরও জানান, সম্পদের এই প্রত্যাশিত বৃদ্ধি কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহিত করবে এবং কারখানা সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। তার মতে, অনুমতিপত্র পাওয়া এলাকার ৯০ শতাংশ এখনও অনুসন্ধানের বাইরে থাকায় ভবিষ্যতে আরও বড় আবিষ্কারের সুযোগ রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে খনিশিল্প যখন বর্ধিত ব্যয়, পণ্যের দামের অস্থিতিশীলতা এবং কঠোর পরিবেশগত নীতিমালার কারণে সংকটের মুখে, তখন সৌদি আরব ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে খনিশিল্পকে একটি কৌশলগত খাতে পরিণত করে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এসঅ্যান্ডপির এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও সৌদি আরবের খনিশিল্প দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এএমএকে সৌদি আরবের শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতিপত্রপ্রাপ্ত এবং দেশটির অন্যতম শক্তিশালী খনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।