তামিলনাড়ুতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১১, আহত ৬০

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে দুটি সরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আরও ৬০ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় রাজ্যের সিভগঙ্গা জেলার কুম্মাঙ্গুডি এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, বাস দুটির একটি তিরুপ্পুর থেকে কারাইকুদি এবং অন্যটি কারাইকুদি থেকে দিন্দিগুলের দিকে যাচ্ছিল। বিবেকানন্দা পলিটেকনিক কলেজের কাছে প্রচণ্ড গতিতে থাকা বাস দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে, অনেক যাত্রী আসন থেকে ছিটকে পড়েন এবং অনেকে বাসের ধাতব কাঠামোর নিচে আটকা পড়েন।

জেলা পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নিহত ১১ জনের মধ্যে আটজন নারী, দুজন পুরুষ ও একটি শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে আটজন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন এবং পরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।

সংঘর্ষে বাস দুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার একটির চালকের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। আহত ৬৪ জনকে কারাইকুডি সরকারি হাসপাতাল, তিরুপত্তুর জিএইচ এবং সিভগঙ্গা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও ৩৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্টালিন এই ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী কে. আর. পেরিয়াকারুপ্পানকে আহতদের চিকিৎসা ও উদ্ধারকাজে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ, গুরুতর আহতদের এক লাখ এবং সামান্য আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের সড়কটি সোজা এবং ভালো অবস্থায় ছিল। তাই চালকের ভুল বা অতিরিক্ত ক্লান্তির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা বাসের অনবোর্ড তথ্য, সিসিটিভি ফুটেজ এবং বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখছেন।