আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তা গ্রহণ করেছেন এবং পদত্যাগ কার্যকর হবে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে, যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘোষণা করা হবে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা দুই ছাত্রনেতার ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা জুলাই অভ্যুত্থানে জাতিকে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তির পথে নেতৃত্ব দিয়েছ; জাতি তা মনে রাখবে। ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও বিকাশে তোমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। তোমাদের অবদান অন্তর্বর্তী সরকার সব সময় স্মরণ করবে। সরকারের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তোমাদের কাজে লাগুক এবং দেশের মঙ্গলে নিয়োজিত থেকো।

মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। পদত্যাগের আগে মাহফুজ আলম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, আর আসিফ মাহমুদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সামলেছিলেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা পরিষদে ২৩ জন ছিলেন। এর আগে ছাত্র প্রতিনিধি মো. নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হন।

মাহফুজ আলম শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ছিলেন। ২৮ আগস্ট তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান, ১০ নভেম্বর শপথ নেন এবং পরে তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব পান।

আসিফ মাহমুদ শুরুতে শ্রম ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সামলাতেন। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ও তাঁর দায়িত্বে যুক্ত হয়। তিনি পদত্যাগ করার আগে স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দায়িত্বে ছিলেন।

এই পদত্যাগের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র প্রতিনিধি পদ খালি হলো, যা রাজনৈতিক মহলে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখানো হচ্ছে।