হাদিকে গুলি: জুলাই যোদ্ধাদের হত্যাযোগ্য করার প্রক্রিয়ার অংশ, বলছে বিপ্লবী পরিষদ

ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জুলাই যোদ্ধাদের হত্যাযোগ্য করার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ’ বলে অভিহিত করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। শুক্রবার জাপানের টোকিও থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান এই দাবি করেন। তিনি শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তার পরিবার ও সহযোদ্ধাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে খোমেনী ইহসান বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানাই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের হুমকির শিকার হয়ে আসছিলেন।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ নভেম্বর শরিফ ওসমান হাদি তার ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছিলেন যে, ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে তাকে কল ও বার্তা পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তার মা, বোন ও স্ত্রীকেও হুমকিও দেওয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। খোমেনী ইহসান অভিযোগ করেন, এসব হুমকির পরেও অন্তর্বর্তী সরকার, পুলিশ বা সেনাবাহিনী তার নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ দাবি করেছে, ভারতে অবস্থানকারী ডাল্টন হীরা নামে এক ব্যক্তির ফেসবুকে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী হাদির ওপর এই হামলা হয়েছে। খোমেনী ইহসান বলেন, ‘এ হামলার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের হত্যাযোগ্য করার পদ্ধতি জাতির কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে। ভারত থেকে জুলাই যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু ঘোষণা করা হয় এবং দেশে টকশো ও ফেসবুকে প্রচারণার মাধ্যমে তাদের হত্যাযোগ্য করে তোলা হয়। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা সবুজ সংকেত হিসেবে কাজ করলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।’

বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে শুধু তদন্ত, দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের ঘোষণা যথেষ্ট নয়। বিপ্লবী পরিষদ জুলাই যোদ্ধা হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দেশে ‘ফ্যাসিবাদীদের’ বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা, তাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং ‘হত্যাযোগ্য করার প্রচারণায় লিপ্ত’ টকশো আলোচক ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

অব্যাহত হুমকি সত্ত্বেও হাদির নিরাপত্তায় ব্যবস্থা না নেওয়ায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনটি। এ ঘটনা প্রশাসনের অবহেলা, ব্যর্থতা নাকি ষড়যন্ত্রের অংশ, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।