লাজারিনি: গাজা এখনো ‘মানব সৃষ্ট’ ক্ষুধা সংকটের মধ্যেই রয়েছে

দুই মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধবিরতি চললেও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা এখনো ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানে ক্ষুধা ও ধ্বংসযজ্ঞ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, গাজার পরিস্থিতি এখনো করুণ এবং মানবিক চাহিদাও অত্যধিক। পরিবারগুলো চরম অভাব ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ধকল সয়ে যাচ্ছে।

ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, উপত্যকার ১৬ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘গাজা এখনো মানব সৃষ্ট ক্ষুধা সংকটের মধ্যেই রয়েছে।’

সংস্থাটি আরও নিশ্চিত করেছে যে, তাদের কর্মীরাও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এরপরও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে তারা এখনো মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি গণহত্যামূলক যুদ্ধের অবসানে গত ১০ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। দুই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের কথা থাকলেও গড়ে মাত্র ২৪৪টি ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। একইভাবে জ্বালানিবাহী ট্রাকের সংখ্যা দিনে গড়ে পাঁচটির বেশি বাড়েনি, যেখানে চুক্তির আওতায় অন্তত ৫০টি ট্রাক প্রবেশের কথা ছিল। অর্থাৎ মোট সম্মতির হার ৪১ শতাংশের বেশি নয়।

অফিসটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধবিরতির ৮৭৫টি লঙ্ঘন ঘটিয়েছে। এর ফলে ৪১১ জন নিহত এবং ১,১১২ জন আহত হয়েছে।