সাতক্ষীরায় ভোটাধিকার ও গণভোটের বার্তা নিয়ে নামল ‘ভোটের গাড়ি’

‘দেশের চাবি আপনার হাতে’—এমন স্লোগান ও উন্মুক্ত লেখনী বোর্ডের মাধ্যমে তরুণদের মতামত জানার সুযোগ তৈরি করেছে একটি বিশেষায়িত বাহন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে এই ‘ভোটের গাড়ি’ বা সুপার ক্যারাভান। গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই প্রচার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। জেলা তথ্য অফিসের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ এবং ভোটাধিকার প্রয়োগে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করা। শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে শুরু হওয়া এই প্রচারণা সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মিজ আফরোজা আখতার বলেন, ‘ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। ভোটাররা সচেতন হলে নির্বাচন ও গণভোট দুটোই অর্থবহ হয়ে উঠবে।’ তিনি জানান, সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন এবং একদম তৃণমূল পর্যায়ের ওয়ার্ডগুলোতে এই বার্তা পৌঁছে দিতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করা হবে।

প্রচারণা কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বিশেষ ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি পরিবেশিত হয় দেশাত্মবোধক ও সচেতনতামূলক গান। আগত দর্শনার্থী ও ভোটারদের জন্য রাখা হয়েছে জনমত বাক্স, যেখানে তারা নির্বাচন ও গণভোট-২০২৬ নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা ও ভাবনা তুলে ধরছেন। এছাড়া গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকারের পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেন।

জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অর্ণব দত্ত, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম এবং মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসুসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর—এই দুই দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুপার ক্যারাভানের কার্যক্রম চলবে। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা এই উদ্যোগকে বেশ ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং গণভোট সফল করতে এই প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।