পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সিরিয়াস। দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এই বাস্তবতা থেকেই সরকার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে চায়।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর)) ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে সরকার। একই সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, মানুষকে ভোট দিতে উৎসাহিত করার দায়িত্ব দলগুলোকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পর দেশে কোনো নির্বাচনই প্রকৃত অর্থে সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। বিশেষ করে ৩০ বছরের নিচে বা কাছাকাছি বয়সী বিপুলসংখ্যক তরুণ জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেনি। আমরা চাই, এবারের নির্বাচনে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের মত প্রকাশের সুযোগ পাক।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, কেউ যেন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কোনো কেন্দ্রে সমস্যা দেখা দিলে প্রয়োজনে সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের কাছে যাবেন, নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। কিন্তু সহিংসতা বা আঘাতের রাজনীতি নয়। সবাই শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে দেশ একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার পাবে।

২০২৪ সালের আগস্টে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেই আন্দোলনে অনেক তরুণ জীবন দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সরকার একটি ন্যূনতম সংস্কারমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। শতভাগ সফলতা না এলেও যতটা সম্ভব জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়। জনগণ যার পক্ষে ভোট দিতে চায়, তারা স্বাধীনভাবেই সে সিদ্ধান্ত নেবে।