দেশবাসীর কাছে মায়ের জন্য দোয়া ও ক্ষমা চাইলেন তারেক রহমান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিপুল জনসমাগমের উদ্দেশে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, আমার মা মরহুম বেগম খালেদা জিয়া জীবত থাকা অবস্থায় কারও কাছে থেকে ঋণ নিয়ে থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। জীবদ্দশায় আচরণ কিংবা কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে মায়ের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। আপনার সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আল্লাহ তাকে বেহেশত দান করেন। এসময় তার কণ্ঠে ছিল আবেগ ও শোকের ভার।

বিকেল ৩টার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে খালেদা জিয়ার জানাজা শুরু হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক জানাজা পরিচালনা করেন। মাত্র কয়েক মিনিটের এই জানাজায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধানসহ দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

এ ছাড়া জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন দলের নেতারাও জানাজায় অংশ নেন। প্রথম সারিতে দেখা যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে।

জানাজাকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদ ভবনের মূল মাঠ ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয় সরণী, আগারগাঁও, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ ও মোহাম্মদপুর পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। বিপুল সংখ্যক মানুষ পায়ে হেঁটেই জানাজাস্থলে পৌঁছান।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে এবং ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে দাফন করা হয়।