আগামী নির্দেশ পর্যন্ত বিপদ সংকেত জারি থাকবে

ঘূর্ণিঝড় মোরা বাংলাদেশ অতিক্রম করা শুরু করলেও এখনও সবাই আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদফতরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমানে মোরা উপকূল অতিক্রম করে ভোলা, হাতিয়া, চাঁদপুর অঞ্চলে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আগামী নির্দেশ পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে বিপদ সংকেত জারি থাকবে বলে তিনি জানান।

সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মোরা বাংলাদেশ অতিক্রম শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে শক্তি কমতে থাকে ঝড়টির। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে এখনও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আমরা এখনও আশঙ্কামুক্ত নই।

এদিকে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মোরা বাংলাদেশ ভূখণ্ড প্রায় অতিক্রম করা শুরু করেছে। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে এটি ইতোমধ্যে উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে ভারতের মণিপুর রাজ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোরা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। তবে এখনও কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনসহ আশেপাশের এলাকায় প্রবলবেগে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এর আগে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোরা। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি।

মোরার ফলে কক্সবাজারের মহেশখালী ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ দুটি একেবারে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই এই দ্বীপ অঞ্চল দুটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।