এবার সর্বনিম্ন ফিতরা ৬৫ টাকা, সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা

বাংলাদেশে এবার ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সর্বোচ্চ ফিতরা হবে ১ হাজার ৯৮০ টাকা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির একটি সভায় ফিতরার এই হার নির্ধারণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।

সভায় বলা হয়, ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী খেজুর, আটা, পনির, কিশমিশ ও যব ইত্যাদির যে কোনো একটির বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে সর্বনিন্ম ফিতরা নির্ধারিত হয় ৬৫ টাকা। এটি ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটার বাজারমূল্য।

এছাড়া কেউ যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৬০ টাকা আদায় করতে হবে। কিসমিস দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ২৫০ টাকা আদায় করতে হবে। খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা আদায় করতে হবে এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা আদায় করতে হবে।

উপরের যে কোনো একটি পণ্য অনুসারে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী মুসলমানগণ তাদের ফিতরা আদায় করতে পারবেন। তবে সভায় এও বলা হয় যে, স্থানীয় বাজারে ওপরের পণ্যগুলোর দামের তারতম্য রয়েছে। কেউ চাইলে স্থানীয় বাজারমূল্য অনুসারেও ফিতরা আদায় করতে পারবে।

সভায় জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য মো. মোজাহারুল মান্নান, ড. মুহাম্মদ আবদুস সালাম, মুফতী মো. আবদুল্লাহ, প্রফেসর সিরাজউদ্দিন আহমদ, মুফাসসির ড. মো. আবু সালেহ পাটোয়ারী, মুফতী মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ড. আবদুল জলীল, মুফতী এহসানুল হক, মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, শাঈখ মুহাম্মদ উছমান গণী, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবদুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।