আর কখনোই হারাবে না আপনার স্মার্টফোন-ওয়ালেট

ছোটখাটো প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন, ওয়ালেট, চাবি বা জরুরী এক টুকরো কাগজ যখন খুঁজে পান না তখন আপনার নিশ্চয়ই মনে হয়, ইশ্, মোবাইলে রিং করলে যেভাবে তা খুঁজে পাওয়া যায়, তেমন যদি এসবেও কল করার অপশন থাকতো তাহলে খুঁজে পাওয়া কতো সহজ হতো! ডিজিটাল যুগে এই স্বপ্ন আপনি দেখতেই পারেন।

আবার ধরুন, সারাদিনের জন্য বাইরে বের হচ্ছেন। ফোনটায় ফুল চার্জ থাকলেও চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়ে আপনি ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারছেন না। পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখাই যায় কিন্তু প্যান্টের দুটো পকেটের একটিতে মানিব্যাগ আর অন্যটিতে ফোন রাখলে ব্যাগ বহনের কি প্রয়োজন! কিন্তু একটি কথা ভাবুন, আপনার এক পকেটে থাকা স্মার্টফোনটা কিন্তু আপনাকে ডিজিটাল জীবনের স্বাদ দিচ্ছে, তবে একুশ শতকে এসেও পুরোনো যুগের মানিব্যাগ কেন? এই যুগে আপনার পকেট তো একটি ডিজিটাল মানিব্যাগের দাবি রাখেই, তাই না!

সম্প্রতি কিছু তরুণ উদ্যোক্ত মিলে এমনই এক ডিজিটাল মানিব্যাগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন যা শুধুমাত্র টাকা, ভিজিং কার্ড বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষিত রাখবে না বরং পাওয়ার ব্যাংক ও ওয়াইফাই হটস্পটের মতো সুবিধাও দেবে আপনাকে। একই সঙ্গে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য রয়েছে দারুণ ফিচার। মানিব্যাগটি কোথাও ফেলে ভুলে গেলে অ্যালার্ম বাজিয়ে মনে করিয়ে দেবে আপনাকে। এর অ্যালার্মের শব্দ অনেক দূর থেকেও শোনা যায়। 

এছাড়া এতে রয়েছে জিপিএস ট্র্যাকিং এবং একটি ছোট্ট ক্যামেরা। তাই পকেটমারের ভয় থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এর ব্লুটুথ এলার্ম সিস্টেম নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে সরে গেলেই অ্যালার্ম দিতে শুরু করবে। এছাড়া আপনার মোবাইলের সুরক্ষাও দেবে এই মানিব্যাগ। এতে রয়েছে একটি পুশ বাটন যেখানে চাপ দিলে ফোনটাও বেজে উঠবে। ফোনে সাইলেন্ট মোড দেওয়া থাকলেও তা খুঁজে পেতে অসুবিধা হবে না। 
ইতোমধ্যেই ক্রাউড ফান্ডিং ইন্ডিয়েগোগো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘ভোল্টারম্যান’ নামে এই ওয়ালেট তৈরি করার জন্য প্রচার ও তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটি। তারা দাবি করছে, এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানিব্যাগ।

উদ্যোক্ত প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১৪ সাল থেকে এই মানিব্যাগটি তৈরির কাজ করছেন। তারা দুই বছর ধরে পরীক্ষা, প্রটোটাইপ তৈরি, নকশা ও ক্রাউড ফান্ডিং কর্মসূচি চালানোর পর এবার বাজারে মানিব্যাটি ছাড়তে প্রস্তুত হয়েছেন।