আপনি পড়ছেন

রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না তবে নিরাপত্তা রক্ষা করতে সেখানে প্রবেশাধিকার সীমিত রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাউ হতাই শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই কথা জানান।

myanmar rohinga issue

জাউ হতাই বলেন, ‘বিপন্ন রাখাইন অঞ্চলে আমরা কোন সংগঠনকে ত্রাণ পাঠাতে বাধা দেয়া হচ্ছে না। তবে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তার কারণে সেখানে প্রবেশ সীমিত রেখেছে ফলে এসব এলাকায় ত্রাণকর্মীদের প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।’

এদিকে মিয়ানমারের সমাজকল্যান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মিয়াত আইয়ে জানিয়েছেন, সংঘাতময় এলাকায় এখন পর্যন্ত কোন বিদেশি ত্রাণ সংস্থা প্রবেশ করেনি। তবে এসব সংস্থাকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে কিনা না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ’এসব সরকার পরিচালিত কার্যক্রম। এই বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। রোহিঙ্গাদের ৪৭১টি গ্রামের মধ্যে ১৭৬টি অর্থাৎ ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ গ্রাম এখন জনমানবশূন্য আর ৩৪টি গ্রামে অল্প কিছুসংখ্যক মানুষ অাছে। রাখাইনে বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে চলমান সামরিক অভিযান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, রাখাইন ইস্যুতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের অ্যাডভাইজরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করছে মিয়ানমার সরকার। কফি আনান রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত ২৪ আগস্ট একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। যেখানে রাখাইনে মানবিক ত্রাণসহায়তা বিতরণ ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন এনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার সুপারিশও করা হয়।

এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান শুরু করার পর থেকে বাংলাদেশে লক্ষণীয় হারে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে আবার সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, অনেক রোহিঙ্গাই সীমান্ত থেকে ফেরত যাচ্ছে।

গত বছরের রোহিঙ্গা নিধনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে সেখানকার ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ ভয়াবহ নিপীড়ন চালাচ্ছে। তাদের এই আগ্রাসনের কবল থেকে বাদ যাচ্ছে না নারী-শিশুরাও।

জাতিসংঘ বলেছে, মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা নিশ্চয়ই মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে। দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদেরকে জাতিগত নিধনের চেষ্টা করছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.